Logo

আন্তর্জাতিক    >>   ইয়েমেন তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে

ইয়েমেন তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে

ইয়েমেন তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে

ইসরাইল ও ইয়েমেনের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের তেল আবিব শহরের একটি পাবলিক পার্কে আঘাত হানে। এই ঘটনায় অন্তত ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলায় গুরুতর ক্ষতি না হলেও ভাঙা কাচের আঘাতে বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। ইসরাইলের মাগেন ডেভিড অ্যাডম অ্যাম্বুলেন্স সংস্থা জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কেউই গুরুতর অবস্থায় নেই। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বোমা বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে এবং এলাকাবাসীকে নিরাপদে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসরাইলি পুলিশ এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে জানায়, হামলার সময় পার্কের আকাশসীমায় সাইরেন বেজে উঠলেও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। ফলে ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি পার্কের ভেতরে আঘাত হানে।

এখনও নিশ্চিত নয় যে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পেছনে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি জড়িত কিনা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের সামরিক হামলার জবাব দিতে এই আঘাত হানা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ইয়েমেনের ‘সামরিক স্থাপনায়’ হামলা চালায়। ইসরাইল দাবি করে, হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা জবাব দিতে এই হামলা চালানো হয়। ইয়েমেনের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইসরাইলের ওই হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হন।

হুতিদের পক্ষ থেকে এই হামলার আগে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। তাদের দাবি, ইসরাইলের আক্রমণের জবাবে উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

ইসরাইল ও হুতিদের মধ্যে উত্তেজনা কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। হুতিরা ইতোমধ্যেই ইসরাইলকে তাদের আঞ্চলিক ও সামরিক হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। অন্যদিকে, ইসরাইল হুতিদের ইরানের সমর্থিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ইয়েমেনি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হুতি যোদ্ধা ছিলেন।

তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর শহরজুড়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, ভবিষ্যতে আরও হামলা হতে পারে।

এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক সংঘাতের জটিলতা আরও বাড়িয়েছে। ইসরাইল ও হুতিদের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনের কোনো উপায় এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে এই ধরনের হামলা ও পাল্টা হামলা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।

এই উত্তেজনা শুধু ইসরাইল ও ইয়েমেন নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।